Bhimashankar Temple one of the Jyotirlinga situated in wildlife sanctuary of the Western Ghats

 ভীমশঙ্কর মন্দির, মহারাষ্ট্র

ভগবান শিবের ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরটি  মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার সহ্যাদ্রি পাহাড়ের মাঝে ভোগিরি নামে একটি ছোট্ট গ্রামে অবস্থিত। ভীমা নদী এখান থেকে উৎপত্তি লাভ করে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণা নদীর সাথে মিশে গেছে।

মন্দিরের গর্ভ গৃহে তার নাগারা(ইন্দো আর্য স্থাপত্য) শৈলীতে রাজস্থানী এবং গুজরাটি সংস্কৃতির  প্রভাবগুলির একটি সুন্দর সংমিশ্রণ। মন্দিরের বাইরের দেয়ালগুলিতে শিব লীলা, কৃষ্ণ লীলা, রামায়ণ এবং মহাভারতের দৃশ্য চিত্রিত রয়েছে।

ভীমশঙ্কর মন্দির বিশ্বকর্মা ভাস্করদের দক্ষতার প্রমাণ। এটি ১৩00 শতাব্দীর আশেপাশে নির্মিত হয়েছিল। আঠারো শতকে মারাঠা সাম্রাজ্যের রাজনীতিবিদ নানা ফড়নাভিস মন্দিরটির সংস্কার করিয়েছিলেন।মারাঠা শাসক, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজও তাঁর অনুদানের মাধ্যমে মন্দিরটির প্রভূত উন্নতি করিয়েছিলেন।

ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ স্বয়ম্ভু লিঙ্গ অর্থাৎ লিঙ্গটি নিজে থেকেই উদ্ভূত হয়েছিল। মন্দিরের স্তম্ভগুলিতে এবং দরজার ফ্রেমে ঐশরিক ও মানবদের জটিল খোদাই রয়েছে। মন্দিরের অভ্যন্তরে শনিশ্বর মহারাজের মন্দিরও রয়েছে। নন্দীস্বরের একটি মূর্তি মন্দিরের প্রবেশদ্বারে পাওয়া যায়।

ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন কিংবদন্তী রয়েছে। এক জনশ্রুতি অনুসারে, ত্রিপুরাসুর নামে এক অসুর ভীমশঙ্কর জঙ্গলে তপস্যা করে ভগবান শিবকে সন্তুষ্ট করে তাঁর থেকে অমরত্বের বরদান পেতে চেয়েছিলেন। ভগবান শিব তাঁর নিষ্ঠায় সন্তুষ্ট হয়েছিলেন এবং তাকে এই শর্তে অমরত্ব দান করেছিলেন যে তিনি তাঁর তপস্যার শক্তি স্থানীয় লোকদের সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করবেন। ত্রিপুরাসুর তাঁর সাথে একমত হয়েছিলেন। 

তবে সময়ের সাথে সাথে, তিনি তার প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়েছিলেন এবং মানুষ এবং দেবতাদের উভয়ের উপর অত্যাচার করতে শুরু করেছিলেন। সকল দেবতারা ত্রিপুরাসুরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ভগবান শিবের স্মরণ নিলেন এবং তাঁর কাছে ত্রিপুরাসুরের অত্যাচার থেকে মুক্ত করার জন্য অনুরোধ করলেন। তখন ভগবান মহেশ্বর ও তাঁর স্ত্রী দেবী পার্বতী দুজনে অর্ধনারীস্বরের ভূমিকায় হাজির হয়ে ত্রিপুরাসুরকে হত্যা করেছিলেন। 

অন্য জনশ্রুতি অনুসারে, সহ্যাদ্রি পর্বতমালার সীমানায় ডাকিনী অরণ্যে তাঁর মা করকতীর সাথে ভীম নামে এক অসুর (রাক্ষস) বাস করতেন। তিনি প্রকৃতপক্ষে রাজা রাবণের ছোট ভাই কুম্ভকর্ণের পুত্র ছিলেন। যখন তিনি জানতে পারলেন যে ভগবান বিষ্ণু তাঁর বাবাকে রাম হিসাবে হত্যা করেছিলেন, তখন তিনি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন। তিনি শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিশোধ গ্রহণ করার জন্য, ভগবান ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করার জন্য তীব্র তপস্যা শুরু করেছিলেন।

ভগবান ব্রহ্মা তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে প্রচুর শক্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। তপস্যার শক্তির জোরে ভীম ত্রিভুবনের সকলকে আতঙ্কিত করে তোলেন। তিনি শিবের এক প্রবল ভক্ত কামরুপেশ্বরকে কারাবন্দী করেছিলেন এবং শিবের পরিবর্তে তাকে পূজা করার জন্য তাকে কারাবন্দি করে তার উপর অত্যাচার করেছিলেন। কামরুপেশ্বর তা করতে অস্বীকার করলে শিবলিঙ্গ ধ্বংস করার জন্য ভীম তরোয়াল বের করতেই ভগবান শিব তাঁর সামনে উপস্থিত হয়ে তাকে তৃতীয় নেত্রের ক্রোধাগ্নি দিয়ে ছাই করে ফেলেছিলেন। 

ভীমশঙ্কর জঙ্গলকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে, এটি একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং এটি পশ্চিম ঘাটের অংশ হওয়ায় এটি উদ্ভিদ ও প্রাণিকুল সমৃদ্ধ। মহারাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় প্রাণী বিরল মালাবার জায়ান্ট কাঠবিড়ালি এখানে পাওয়া যায়। বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণী হ্রদ এবং পর্বতমালায় ভরা ঘনবনের মধ্যে ভীমশঙ্কর জ্যোতির্লিঙ্গ প্রকৃতির সন্ধানী তীর্থযাত্রীদের একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এই মন্দির দর্শন করতে গেলে প্রায় ২৩০ টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে, ডুলির ব্যবস্থা আছে। 

মহাশিবরাত্রির উৎসব উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্ত এখানে ভিড় করেন। গুপ্ত ভীমশঙ্কর, হনুমান হ্রদ এবং মোক্ষাকুণ্ড তীর্থ এবং কমলজা মাতার মন্দির ভীমশঙ্কর মন্দিরের আশেপাশের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় স্থান।

মন্দিরের সময় :  ভোর ৪:৩০ আরতি, ভোর ৫ টা নিজ রুপে দর্শন, ভোর ৫:৩০ ভক্তদের পূজা ও অভিষেক, দুপুর ১২ টা নৈবেদ্য পূজা, দুপুর ১২:৩০ ভক্তদের পূজা ও অভিষেক, দুপুর ৩ টা আরতি, বিকেল ৪ তা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত দর্শন, সন্ধ্যা ৭:৩০ সন্ধ্যা আরতি। 

******************************************************************

English Translation :

Bhimashankar Temple, Maharashtra

The Bhimashankar Jyotirlinga temple of Lord Shiva is located in a small village called Bhogiri in the middle of the Sahyadri hills of the Western Ghats, about 125 km from Pune in Maharashtra. The river Bhima originates from here and eventually merges with the river Krishna.

The sanctum sanctorum of the temple is a beautiful combination of the influences of Rajasthani and Gujarati culture in its Nagara (Indo-Aryan architecture) style. The outer walls of the temple depict scenes of Shiva Leela, Krishna Leela, Ramayana and Mahabharata.

The Bhimashankar temple is a testament to the skill of the Bishwakarma sculptors. It was built around the 13th century. Nana Farnavis, a politician of the Maratha Empire, renovated the temple in the 18th century. The Maratha ruler, Chhatrapati Shivaji Maharaj, also greatly improved the temple thro inugh his donations.

Bhimashankar Jyotirlinga Swayambhu linga i.e. the linga originated by itself. The pillars of the temple and the door frames have intricate carvings of Gods and humans. There is also a temple of Shanishwar Maharaj inside the temple. A statue of Nandiswar is found at the entrance of the temple.

There are various legends related to Bhimashankar Jyotirlinga. According to a legend, Bhimashankar, an asura named Tripurasura, performed austerities in the forest to please Lord Shiva and seek immortality. Lord Shiva was pleased with his devotion and granted him immortality on the condition that he would use the power of his penance to help the local people. Tripurasura agreed with him.

Over time, however, he forgot his promise and began to persecute both man and the gods. All the gods, overwhelmed by the tyranny of Tripurasura, remembered Lord Shiva and begged him to free them from the tyranny of Tripurasura. Then Lord Maheshwar and his wife Devi Parvati both appeared in the role of Ardhanarisvara and killed Tripurasur.

According to another legend, a demon named Bhima lived with his mother Karkati in a witch forest on the border of the Sahyadri mountains. He was actually the son of Kumbhakarna, the younger brother of King Ravana. When he found out that Lord Vishnu had killed his father as Rama, he became very angry. He started intense austerities to avenge himself by saving energy, to please Lord Brahma.

Satisfied with his austerities, Lord Brahma blessed him with great power. With the power of austerities, Bhima terrified everyone in Tribhuvan. He imprisoned Kamrupeshwar, a strong devotee of Shiva, and tortured him by imprisoning him to worship him instead of Shiva. When Kamrupeshwar refused to do so, Lord Shiva appeared before him to draw out the Bhima sword to destroy the Shivalinga and reduced him to ashes with the fury of the third eye.

Bhimashankar Forest has been declared a wildlife sanctuary, it is a protected forest and it is rich in flora and fauna as it is part of the Western Ghats. The rare Malabar giant squirrel, the state animal of Maharashtra, is found here. Bhimashankar Jyotirlinga is a popular destination for pilgrims in search of nature amidst the dense vegetation of various flora and fauna lakes and mountains. To visit this temple, you have to climb about 230 steps, there is a doolie arrangement.

Thousands of devotees throng here on the occasion of Mahashivaratri festival. Gupta Bhimashankar, Hanuman Lake and Mokshakunda Tirtha and Kamalja Mata Temple are some of the notable religious places in the vicinity of Bhimshankar Temple.

Temple Time: 4:30 am Aarti, 5 am Darshan in its own form, 5:30 am Puja and Abhishek of devotees, 12 noon Naivedya Puja, 12:30 pm Puja and Abhishek of devotees, 3 pm Arti, 4 pm to night Visit until 9 p.m., 7:30 p.m. 

****************************************************************************

हिंदी अनुवाद:

भीमाशंकर मंदिर, महाराष्ट्र

भगवान शिव का भीमाशंकर ज्योतिर्लिंग मंदिर महाराष्ट्र में पुणे से लगभग 125 किमी दूर पश्चिमी घाट में सह्याद्री पहाड़ियों के बीच में भोगी नामक एक छोटे से गाँव में स्थित है। भीमा नदी यहीं से निकलती है और अंत में कृष्णा नदी में मिल जाती है।

मंदिर का गर्भगृह अपनी नागर (इंडो-आर्यन वास्तुकला) शैली में राजस्थानी और गुजराती संस्कृति के प्रभावों का एक सुंदर संयोजन है। मंदिर की बाहरी दीवारें शिव लीला, कृष्ण लीला, रामायण और महाभारत के दृश्यों को दर्शाती हैं।

भीमाशंकर मंदिर विश्वकर्मा मूर्तिकारों के कौशल का प्रमाण है। इसे 13वीं शताब्दी के आसपास बनाया गया था। मराठा साम्राज्य के एक राजनेता नाना फरनवीस ने 18 वीं शताब्दी में मंदिर का जीर्णोद्धार किया।मराठा शासक, छत्रपति शिवाजी महाराज ने भी अपने दान के माध्यम से मंदिर में काफी सुधार किया।

भीमाशंकर ज्योतिर्लिंग स्वयंभू लिंग यानि लिंग की उत्पत्ति स्वयं से हुई थी। मंदिर के खंभों और चौखटों पर देवताओं और मनुष्यों की जटिल नक्काशी है। मंदिर के अंदर शनिश्वर महाराज का मंदिर भी है। मंदिर के प्रवेश द्वार पर नंदीश्वर की एक मूर्ति है।

भीमाशंकर ज्योतिर्लिंग से जुड़ी कई किंवदंतियां हैं। एक पौराणिक कथा के अनुसार, त्रिपुरासुर नाम के एक असुर भीमाशंकर ने भगवान शिव को प्रसन्न करने और अमरता की तलाश के लिए जंगल में तपस्या की थी। भगवान शिव उनकी भक्ति से प्रसन्न हुए और उन्हें इस शर्त पर अमरता प्रदान की कि वे स्थानीय लोगों की मदद के लिए अपनी तपस्या की शक्ति का उपयोग करेंगे। त्रिपुरासुर उससे सहमत हो गया।

हालांकि, समय के साथ, वह अपना वादा भूल गया और मनुष्य और देवताओं दोनों को सताना शुरू कर दिया। त्रिपुरासुर के अत्याचार से अभिभूत सभी देवताओं ने भगवान शिव को याद किया और उन्हें त्रिपुरासुर के अत्याचार से मुक्त करने की भीख मांगी। तब भगवान महेश्वर और उनकी पत्नी देवी पार्वती दोनों अर्धनारीश्वर की भूमिका में प्रकट हुए और त्रिपुरासुर का वध किया।

एक अन्य कथा के अनुसार भीम नाम का एक राक्षस सह्याद्री पर्वत की सीमा पर एक डायन वन में अपनी माता करकती के साथ रहता था। वह वास्तव में राजा रावण के छोटे भाई कुंभकर्ण के पुत्र थे। जब उन्हें पता चला कि भगवान विष्णु ने राम के रूप में उनके पिता का वध किया है, तो वे बहुत क्रोधित हुए। उन्होंने ऊर्जा की बचत करके, भगवान ब्रह्मा को प्रसन्न करने के लिए स्वयं का बदला लेने के लिए तीव्र तपस्या शुरू की।

उनकी तपस्या से संतुष्ट होकर, भगवान ब्रह्मा ने उन्हें महान शक्ति का आशीर्वाद दिया। तपस्या के बल से भीम ने त्रिभुवन में सभी को भयभीत कर दिया। उन्होंने शिव के प्रबल भक्त कामरूपेश्वर को बंदी बना लिया और शिव के स्थान पर उनकी पूजा करने के लिए उन्हें कैद करके प्रताड़ित किया। जब कामरूपेश्वर ने ऐसा करने से इनकार कर दिया, तो भगवान शिव शिवलिंग को नष्ट करने के लिए भीम तलवार निकालने के लिए उनके सामने प्रकट हुए और उन्हें तीसरे नेत्र के प्रकोप से भस्म कर दिया।

भीमाशंकर वन को वन्यजीव अभयारण्य घोषित किया गया है, यह एक संरक्षित वन है और यह वनस्पतियों और जीवों में समृद्ध है क्योंकि यह पश्चिमी घाट का हिस्सा है। दुर्लभ मालाबार विशाल गिलहरी, महाराष्ट्र का राज्य पशु, यहाँ पाई जाती है। विभिन्न वनस्पतियों और जीवों की झीलों और पहाड़ों की घनी वनस्पतियों के बीच प्रकृति की तलाश में तीर्थयात्रियों के लिए भीमाशंकर ज्योतिर्लिंग एक लोकप्रिय गंतव्य है। इस मंदिर के दर्शन करने के लिए आपको करीब 230 सीढ़ियां चढ़नी पड़ती हैं, यहां डूली की व्यवस्था है।

महाशिवरात्रि पर्व पर यहां हजारों की संख्या में श्रद्धालु उमड़ते हैं। गुप्त भीमाशंकर, हनुमान झील और मोक्षकुंड तीर्थ और कमलजा माता मंदिर भीमशंकर मंदिर के आसपास के कुछ उल्लेखनीय धार्मिक स्थान हैं।

मंदिर का समय: सुबह 4:30 बजे आरती, 5 बजे दर्शन अपने स्वरूप में, सुबह 5:30 बजे पूजा और भक्तों का अभिषेक, दोपहर 12 बजे नैवेद्य पूजा, दोपहर 12:30 बजे पूजा और भक्तों का अभिषेक, दोपहर 3 बजे आरती, शाम 4 बजे तक रात 9 बजे, शाम 7:30 बजे तक विजिट करें



Post a Comment (0)
Previous Post Next Post